৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে শিক্ষকের বেত্রাঘাত

ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে শিক্ষকের বেত্রাঘাত

 

৬ষ্ট শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে আখাউড়ায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে শিক্ষকের বেত্রাঘাত

গত শনিবার পৌর শহরের খরমপুর শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. আলাউদ্দিন। তিনি অতিথি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।

এ  ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ক্লাস চলার সময় পাশের টেবিলের এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেওই ছাত্রী। এ ‘অপরাধে’ তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন অভিযুক্ত শিক্ষক আলাউদ্দিন। এতে গুরুতর জখম হয় ওই ছাত্রী। ঘটনার পর সে বাড়িতে গিয়ে ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু সোমবার বিকালে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। এরপর সে বাবা-মাকে শিক্ষকের পিটুনির বিষয়টি জানায়। পরে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির হোসেনের কাছে বিচার দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি। উল্টো তিনি এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য সাবধান করে দিয়েছেন।

আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত তো দূরের কথা শ্রেণিকক্ষে কোনো অবস্থায় শিক্ষকদের বেত নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।

তবে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘ছাত্রীটি ক্লাশে অনেক দুষ্টুমি করছিল। যে কারণে বেত দিয়ে তাকে একটি মাত্র আঘাত করেছি। এর বাইরে আমি কোথাও আঘাত করিনি।’

প্রধান শিক্ষক মো. নাজির হোসেন বলেন, শিক্ষক আলাউদ্দিনকে ডেকে এনে শাসিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে স্কুলে ওই ছাত্রীকে তেমন অসুস্থ্য মনে হচ্ছিল না।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রীটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ একাধিক স্থানে বেত্রাঘাতের জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আখাউড়া থানার ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment